ঢাকা, ০২ মে বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩২৮

বিপন্ন অর্থনীতি: জটিল বিষয় সহজ কথন 

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৩৩ ২৭ অক্টোবর ২০২২  

চলমান সময়ে এদেশের আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় বিপন্ন অর্থনীতি এবং ২০২৩ সালের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ। শহর বন্দর গ্রাম সবখানে সব শ্রেণীর মানুষ চরম দুশ্চিন্তায়। আজকেও খবরের কাগজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খবর: অসহায় উপদেষ্টা ( জ্বালানি), ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। খোদ জ্বালানি উপদেষ্টা যখন হতাশ, তখন দেশবাসী আতঙ্কিত না হয়ে পারেন না। 

 

বাংলাদেশের অর্থনীতির তিনটি প্রধান খাত: কৃষি, শিল্প ও সার্ভিস। এসব খাতের অবদান যথাক্রমে ১২% (প্রায়), ৩৪% (প্রায়) ও ৫৪% ( প্রায়)। সব খাতের ফলাফল জ্বালানি ও বিদ্যুতের সঙ্গে সম্পর্কিত। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত না হলে সব খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। 

 

অনেক আগে এদেশের অর্থনীতি ছিলো মূলত কৃষি নির্ভর। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও সে অর্থনীতি ছিল অনেকটা টেকসই, স্বনির্ভর। বর্তমান অর্থনীতি অনেক উন্নত এবং আধুনিক; সে সাথে বহির্বিশ্বের তথা বৈশ্বিক বাস্তবতার উপর নির্ভরশীল। এদেশের রিজার্ভ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও শংকা।

 

রিজার্ভের উৎস কয়েকটি: পোশাক রপ্তানি, অন্যান্য রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও অন্যান্য। আমাদের ট্রেড ডেফিশিট বা বাণিজ্য ঘাটতি নিত্যসঙ্গী। এ বাস্তবতায়ও আমদানি করতে হয় চাল, ডালসহ অনেক কৃষি পণ্য। আগের কৃষি প্রধান এদেশের জন্য এটা মানানসই নয়। 

 

বেশি আমদানি ও বৈশ্বিক সংকট ছাড়া এদেশের রিজার্ভের খারাপ অবস্থার আরেকটি কারণ চুরি এবং অর্থপাচার মর্মে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম থেকে জানা যায়। এ ধরনের চুরি ও অর্থপাচার এদেশের কৃষক শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা করে না। করে উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষিত চোর ডাকাতরা। এর মানে এদেশের শিক্ষা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা এসব নব্য চোর ডাকাতদের জন্ম দেয়। 

 

অগণিত ইস্যু নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে এদেশের অর্থনীতির সব খাতের প্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে সমাধানের জন্য শিক্ষা সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নৈতিকতা ফিরিয়ে আনা নিশ্চিত করতে হবে। অন্য কারো দায়িত্ব যাই থাকুক, প্রধানত এ দায়িত্ব সরকারের।

 

লেখক: খায়রুল আনাম

সাবেক অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ সরকার